Here you will find the Long Poem campe \ ক্যাম্পে of poet Jibanananda Das
এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি ; সারারাত দখিনা বাতাসে আকাশের চাঁদের আলোয় এক ঘাইহরিনীর ডাক শুনি , - কাহারে সে ডাকে ! কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার ; বনের ভিতরে আজ শিকারীরা আসিয়াছে , আমিও তাদের ঘ্রাণ পাই যেন , এইখানে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ঘুম আর আসে নাকো বসন্তের রাতে । চারিপাশে বনের বিস্ময় , চৈত্রের বাতাস , জ্যোৎস্নার শরীরের স্বাদ যেন ! ঘাইমৃগী সারারাত ডাকে ; কোথাও অনেক বনে – যেইখানে জ্যোৎস্না আর নাই পুরুষ- হরিণ সব শুনিতেছে শব্দ তার ; তাহারা পেতেছে টের , আসিতেছে তার দিকে ! আজ এই বিস্ময়ের রাতে তাহাদের প্রেমের সময় আসিয়াছে ; তাহাদের হৃদয়ের বোন বনের আড়াল থেকে তাহাদের ডাকিতেছে জ্যোৎস্নায় ,- পিপাসার সান্ত্বনায় – অঘ্রানে- আস্বাদে ! কোথাও বাঘের পাড়া বনে আজ নাই আর যেন ! মৃগদের বুকে আজ কোনো স্পষ্ট ভয় নাই , সন্দেহের আবছায়া নাই কিছু ; কেবল পিপাসা আছে, রোমহর্ষ আছে । মৃগীর মুখের রূপে হয়তো চিতার বুকেও জেগেছে বিস্ময় ! লালসা – আকাঙ্ক্ষা –সাধ – প্রেম-স্বপ্ন স্ফুট হয়ে উঠিতেছে সব দিকে আজ এই বসন্তের রাতে ; এইখানে আমার নকটার্ন –। একে একে হরিণেরা আসিতেছে গভীর বনের পথ ছেড়ে , সকল জলের শব্দ পিছে ফেলে অন্য এক আশ্বাসের খোঁজে দাঁতের – নখের কথা ভুলে গিয়ে তাদের বোনের কাছে ওই সুন্দরী গাছের নিচে- জ্যোৎস্নায় !- মানুষ যেমন ক’রে ঘ্রাণ পেয়ে আসে তার নোনা মেয়েমানুষের কাছে হরিণেরা আসিতেছে । -তাদের পেতেছি আমি টের অনেক পায়ের শব্দ শোনা যায় , ঘাইমৃগী ডাকিতেছে জ্যোৎস্নায় । ঘুমাতে পারি না আর ; শুয়ে শুয়ে থেকে বন্দুকের শব্দ শুনি । চাঁদের আলোয় ঘাইহরিণী আবার ডাকে ; এইখানে প’ড়ে থেকে একা একা আমার হৃদয়ে এক অবসাদ জমে ওঠে বন্দুকের শব্দ শুনে শুনে হরিণীর ডাক শুনে শুনে । কাল মৃগী আসিবে ফিরিয়া ; সকালে – আলোয় তারে দেখা যাবে – পাশে তার মৃত সব প্রেমিকেরা প’ড়ে আছে । মানুষেরা শিখায়ে দিয়েছে তারে এইসব । আমার খাবার ডিশে হরিণের মাংসের ঘ্রাণ আমি পাব , ...মাংস – খাওয়া হল তবু শেষ ? ...কেন শেষ হবে ? কেন এই মৃগদের কথা ভেবে ব্যথা পেতে হবে তাদের মতন নই আমিও কি ? কোনো এক বসন্তের রাতে জীবনে কোনো এক বিস্ময়ের রাতে আমারেও ডাকেনি কি কেউ এসে জ্যোৎস্নায় – দখিনা বাতাসে ওই ঘাইহরিণীর মতো ? আমার হৃদয় – এক পুরুষহরিণ – পৃথিবীর সব হিংসা ভুলে গিয়ে চিতার চোখের ভয় – চমকের কথা সব পিছে ফেলে রেখে তোমারে কি চায় নাই ধরা দিতে ? আমার বুকের প্রেম ঐ মৃত মৃগদের মতো যখন ধূলায় রক্তে মিশে গেছে এই হরিণীর মতো তুমি বেঁচেছিলে নাকি জীবনের বিস্ময়ের রাতে কোনো এক বসন্তের রাতে ? তুমিও কাহার কাছে শিখেছিলে ! মৃত পশুদের মতো আমাদের মাংস লয়ে আমরাও প’ড়ে থাকি ; বিয়োগের – বিয়োগের – মরণের মুখে এসে পড়ে সব ঐ মৃত মৃগদের মতো –। প্রেমের সাহস-সাধ-স্বপ্ন লয়ে বেঁচে থেকে ব্যথা পাই, ঘৃণা –মৃত্যু পাই ; পাই না কি ? দোনলার শব্দ শুনি । ঘাইমৃগী ডেকে যায় , আমার হৃদয়ে ঘুম আসে নাকো একা একা শুয়ে থেকে ; বন্দুকের শব্দ তবু চুপে চুপে ভুলে যেতে হয় । ক্যাম্পের বিছানায় রাত তার অন্য এক কথা বলে ; যাহাদের দোনলার মুখে আজ হরিণেরা মরে যায় হরিনের মাংস হাড় স্বাদ তৃপ্তি নিয়ে এল যাহাদের ডিশে তাহারাও তোমার মতন ;- ক্যাম্পের বিছানায় শুয়ে থেকে শুকাতেছে তাদেরো হৃদয় কথা ভেবে – কথা ভেবে – ভেবে । এই ব্যথা ,- এই প্রেম সব দিকে রয়ে গেছে ,- কোথাও ফড়িঙে-কীটে ,- মানুষের বুকের ভিতরে , আমাদের সবের জীবনে । বসন্তের জ্যোৎস্নায় ওই মৃত মৃগদের মতো আমরা সবাই ।
ekhane boner kache camp ami feliachi; sararat dokhina batase akasher cader aloy ek ghaihorinir dak suni,- kahare se dake! kothau horin aj hoteche shikar; boner vitor aj shikarira asiache, amio tader ghran pai jeno, eikhane bichanay shuye shuye ghum ar ase nako bosonter rate . caripashe boner bismoy, coitrer batas, josnar shorirer sad jeno! ghaimrigi sararat dake; kothau onek bone- jeikhane josna ar nai purush horin sob shuniteche shobdo tar; tahara peteche ter, asiteche tar dike ! aj ei bismoyer rate tahader premer somoy asiayache; tahader hridoyer bon boner aral theke tahader dakiteche josnay,- pipasar santonay-oghrane-assade! kothao bagher para bone aj nai ar jeno! mrigder buke aj kono sposto voy nai, sondeher abchaya nai kichu; kebol pipasa ache , romhorso ache. mrigir mukhe rupe hoyto citar bukeo jegeche bismoy! lalasa-akangkha-sadh- prem sopno sputo hoye uthiteche sob dike aj ei bosonter rate; eikhane amar noktarn-. eke eke horinera asiteche govir boner par chere, sokol joler shobdo piche fele onno ek asshaser khoje dater-nokher kotha vule giye tader boner kache oi sundori gacher nice- josnay!- manush jemon kore ghran peye ase tar nona meye manusher kache horinera asiteche . tader petechi ami ter onek payer shibdo shona jay, ghaimrigi dakiteche josnay. ghumate pari na ar; shuye shuye theke bonduker shobdo shuni. cader aloy ghai horini abar dake; eikhane pore theke eka eka amar hridoye ek obosad jege othe bonduker shobdo shune shune horinir dak shune shune. kal mrigi asibe firiya; sokale-aloy tare dekha jabe- pashe tar mrito sob premikera pore ache. manushera sikhaye diyeche tare eisob. amar khabar dishe horiner mangser ghran ami pabo, ...mangso-khawa holo tobu shes? keno ei mrigder kotha vebe betha pete hobe tader motoi noi amio ki ? kono ek bosonter rate joboner kono ek bismoyer rate amareo dakeni ki keu ese josnay-dokhina batase oi ghaihorinir moto? amar hridoy-ek purushhorin- prithibir sob hingsa vule giye citar cokher voy-comoker kotha sob piche fele rekhe tomare ki cay nai dhora dite? amar buker prem oi mrito mrito mrigder moto jokhon dhulay rokte mishe geche ei horinir moto tumi becechile naki joboner bismoyer rate kono ek bosonter rate? tumio kahar kache sikhechile! mrito poshuder moto amader mangso loye amrao pore thaki; biyoger-biyoger-moroner mukhe ese pore sob oi mrito mrigder moto-. premer sahos-sadh-sopno loye bece theke betha pai,ghrina-mrittu pai; pai na ki? dolnar shobdo shuni. ghaimrigi deke jay, amar hridoye ghum ase nako eke eke shuye theke; bonduker shobdo tobu cupe cupe vule jete hoy. camper bichanay rat tar onno ek kotha bole; jahader dolnar mukhe aj horinera more jay horiner mangso har sad tripti niye elo jahader dishe taharao tomar moton;- camper bichanay shuye theke shukateche tadero hridoy kotha vebe-kotha vebe-vebe. ei betha,- ei prem sob dike roye geche,- kothao foringe-kite,-manusher buker vitore, amader sober jobone. bosonter josnay oi mrito mrigder moto amra sobai.